'লালসালু' আজো পর্যন্ত পূর্ববাংলার শ্রেষ্ঠ উপন্যাস বলে সুধীমহলে স্বীকৃত। তেমনি কথাশিল্পী হিসেবে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র শ্রেষ্ঠত্বেও প্রায় কেউই দ্বিমত পোষণ করেন না।
অল্পপরিসর পটভূমিকায় উপন্যাসের মৌলিক চরিত্র ধর্মরক্ষা এক কঠিন কাজ। সেই কঠিন কাজে 'লালসালু'র লেখক সফল হয়েছেন, একথা দ্বিধাহীন চিত্তে বলা চলে।
মানুষের জীবনজিজ্ঞাসা নানা পথে নানা মাধ্যমে উত্তর খুঁজতে থাকে। জীবন নিঃশেষ হতে থাকে জীবনের ঘাটে ঘাটে; কিন্তু জিজ্ঞাসার উত্তর তবু পাওয়া যায় না। প্রশ্ন থেকে প্রশ্নাত্তরে যে ব্যাকুল হৃদয় আত্মপ্রতিষ্ঠার সন্ধান চায় সে হৃদয়ের সান্ত্বনা মেলেনা শেষ পর্যন্ত কোথাও।
‘লালসালু’র রক্তরঙিন আবরণে ঢাকা থাকে বহু বেদনা বহু বঞ্চনার কাহিনি – লেখা থাকে বহু ব্যর্থ কামনার ইতিহাস। সেই ইতিহাসের নগ্ন বিধৃতি সমগ্র ‘লালসালু'তে।
'লালসালু' আজো পর্যন্ত পূর্ববাংলার শ্রেষ্ঠ উপন্যাস বলে সুধীমহলে স্বীকৃত। তেমনি কথাশিল্পী হিসেবে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র শ্রেষ্ঠত্বেও প্রায় কেউই দ্বিমত পোষণ করেন না।
অল্পপরিসর পটভূমিকায় উপন্যাসের মৌলিক চরিত্র ধর্মরক্ষা এক কঠিন কাজ। সেই কঠিন কাজে 'লালসালু'র লেখক সফল হয়েছেন, একথা দ্বিধাহীন চিত্তে বলা চলে।
মানুষের জীবনজিজ্ঞাসা নানা পথে নানা মাধ্যমে উত্তর খুঁজতে থাকে। জীবন নিঃশেষ হতে থাকে জীবনের ঘাটে ঘাটে; কিন্তু জিজ্ঞাসার উত্তর তবু পাওয়া যায় না। প্রশ্ন থেকে প্রশ্নাত্তরে যে ব্যাকুল হৃদয় আত্মপ্রতিষ্ঠার সন্ধান চায় সে হৃদয়ের সান্ত্বনা মেলেনা শেষ পর্যন্ত কোথাও।
‘লালসালু’র রক্তরঙিন আবরণে ঢাকা থাকে বহু বেদনা বহু বঞ্চনার কাহিনি – লেখা থাকে বহু ব্যর্থ কামনার ইতিহাস। সেই ইতিহাসের নগ্ন বিধৃতি সমগ্র ‘লালসালু'তে।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ (আগস্ট ১৫, ১৯২২ - অক্টোবর ১০, ১৯৭১) আধুনিক বাংলা সাহিত্যের এক স্তম্ভপ্রতিম কথাশিল্পী। কল্লোল যুগের ধারাবাহিকতায় তার আবির্ভাব হলেও তিনি ইউরোপীয় আধুনিকতায় পরিশ্রুত নতুন কথাসাহিত্য বলয়ের শিলান্যাস করেন। জগদীশ গুপ্ত, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখের উত্তরসূরি এই কথাসাহিত্যিক অগ্রজদের কাছ থেকে পাঠ গ্রহণ করলেও বিষয়, কাঠামো ও ভাষা-ভঙ্গিতে নতুন এক ঘরানার জন্ম দিয়েছেন।