আত্মকথা : প্রথমবার তিব্বত ভ্রমণের কাহিনী
শরৎচন্দ্র দাশ দুবার তিব্বত অভিযান করেছিলেন। প্রথমবার ১৮৭৯ সালে ছ'মাসের জন্য। এই বইটি সেই অভিযান- কাহিনীর বঙ্গানুবাদ।
সেই সময়ে পূর্ব নেপাল, সিকিম ও তিব্বতের সঙ্গে দার্জিলিঙের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। দার্জিলিঙে থাকাকালীন তিব্বতের মানুষদের সংস্পর্শে তিনি আসতেন। তখন থেকেই তিব্বত সম্পর্কে তাঁর আগ্রহ জন্মাতে শুরু করে। যদিও সেই সময় তিব্বত ছিল এক নিষিদ্ধ দেশ, বিশেষ করে ইংরেজদের এবং ইংরেজ অধিকৃত ভারতীয়দের কাছে। তাই পরিচয় গোপন করেই তাঁকে তিব্বতে যেতে হয়েছিল।
তিব্বতে তিনি যেমন ক্ষমতার একদম উঁচু শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে মেলামেশা করেছিলেন, তেমনি খুঁটিয়ে লক্ষ করেছিলেন সেখানকার সাধারণ মানুষদের জীবন যাত্রা, সংস্কৃতি। তিব্বতের জীবন ও সংস্কৃতির উপর এমন নিখুঁত বর্ণনা তাঁর আগে আর কোনও তিব্বতের বাইরের জগতের মানুষ জানতে পারেননি। সেই হিসেবে শরৎচন্দ্রের তিব্বত অভিযান আসলে তিব্বত আবিষ্কার।
কিন্তু শরৎচন্দ্রের এই লেখার অন্য মূল্য রয়েছে। যেভাবে তিনি তিব্বতে পৌঁছেছিলেন তা আসলে একপ্রকার অভিযান। দূর্গম, তুষারাবৃত হিমালয় যেভাবে অতিক্রম করেছিলেন তা তাক্লামাকান বা গোবি অতিক্রমের চেয়ে কিছু কম দুঃসাহসী নয়। আর তার বর্ণনা যেভাবে করেছেন শরৎচন্দ্র তা আমাদের ভয়ংকর অভিযানের কাহিনী পাঠের রোমাঞ্চ দেয়।
100% original guarantee
Return within 30days
Free delivery on all orders
|
Writer |
|
|
Translator |
|
|
Publisher |
|
|
ISBN |
9788194671817 |
|
Language |
Bengali / বাংলা |
|
Country |
India |
|
Format |
Hardcover |
|
Pages |
120 |
শরৎচন্দ্র দাশ
শরৎচন্দ্র দাশ চট্টগ্রামের আলমপুর গ্রামের মানুষ। ১৮৪৯ সালে তার জন্ম। স্কুল শেষে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার জন্য ভর্তি হয়েছেন প্রেসিডেন্সি কলেজে। ১৮৭৪ সালে ফাইনাল পরীক্ষার সময় অসুস্থ হলেন শরৎচন্দ্র, বাঁচিয়ে দিলেন উদ্ভিদবিজ্ঞানের অধ্যাপক সি বি ক্লার্ক। দার্জিলিং-এ স্কুলে পড়ানোর প্রস্তাবে রাজি হয়ে চলে যান সেখানে। আস্তে আস্তে রপ্ত করে ফেলেন তাদের ভাষা। ১৮৭৯ সালে যান তিব্বতে সেখানে পাঞ্চেন লামার প্রধান সহকারী, তাশি লামা হিন্দি ও ইংরেজি শিখতে চান। তিব্বতি সংস্কৃতিতে আগ্রহী শরৎচন্দ্র দাস নিয়ে এসেছেন ভারতে হারিয়ে-যাওয়া নানা বৌদ্ধ গ্রন্থের অনুলিপি। তারই মধ্যে ব্রিটিশ সরকারকে জানাচ্ছেন দেশটা নিয়ে হরেক তথ্য। ব্রিটিশ সরকার শরৎচন্দ্রকে তাদের মতো ব্যবহার করছে, আবার শরৎচন্দ্র গুপ্তচরবৃত্তির ফাঁকে জেনে নিচ্ছেন বৌদ্ধ ধর্মের হরেক তথ্য, নিয়ে আসছেন তিব্বতি ভাষায় লেখা বিভিন্ন সংস্কৃত পুঁথি। দু’বছর বাদে আবার যান তিব্বতে এই সফরে দেখা পান আট বছর বয়সী শিশু ত্রয়োদশ দলাই লামার। ১৯১৭ সালে দার্জিলিঙের বাড়িতেই মারা যান শরৎচন্দ্র। গ্রন্থসমূহ : আত্মকথা, তিব্বতে দু’বার।
অলোক বসু
অলোক বসু